বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় (হ্যাকিং এর পূর্বে করণীয়)

আপনার কোন এ্যাকটিভিটির কারণে যদি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন পড়তে পারে।

কারণ, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে আপনি যদি পরবর্তী স্টেপগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে না পারেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট পরিপূর্ণভাবে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

এক্ষেত্রে, যে কোনো রকমের ঝুঁকি এড়ানো জন্য বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় সম্পর্কে সবার আগে অবগত হওয়ার প্রয়োজন আছে।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

যখনই আপনি এটা উপলব্ধি করতে পারবেন যে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে কিংবা আপনার একাউন্ট থেকে যদি কোন রকমের অনিয়ন্ত্রিত একটিভিটি ঘটছে, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

  • সর্বপ্রথম এবং সর্ব প্রধান কাজ হবে আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নেয়া।
  • আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে সক্ষম হন, তাহলে আপনার একাউন্ট রিস্ক থেকে মুক্ত হতে সক্ষম।
  • যখন আপনি আপনার একাউন্টে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিবেন   তখন বিকাশের হেল্পলাইন নাম্বার রয়েছে সেই হেল্পলাইন নাম্বার কল করে দিন।
  • বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে দেয়ার পরে যখন আপনি তাদেরকে এই সম্পর্কে অবগত করবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে গিয়েছে,  তখন তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ অনুসরণ করবে।

এর মধ্যে থেকে একটি হল, তারা আপনার একাউন্টের যে একটিভিটি রয়েছে সে সমস্ত অ্যাক্টিভিটি গুলো রিমুভ করে দিবে।

অর্থাৎ,  অ্যাকাউন্ট থেকে যে সর্বশেষ লগইন করা হয়েছে, সেই লগিন ক্যানসেল করে দিবে। যাতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট সিকিউর থাকবে।

উপরে উল্লেখিত দুইটি স্টেপ ফলো করলেই আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে সেটি পুনরায় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এছাড়া আর কোন স্টেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পূর্বে করণীয়

আপনার অনিয়ন্ত্রিত একটিভির জন্য বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়া এখন স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে গিয়েছে।

তবে, আপনি যদি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পূর্বে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন, তাহলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার রুখতে পারেন।

আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া রুখার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

  • প্রথমত আপনার একাউন্টে এমন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যে পাসওয়ার্ড সম্পর্কে কারো ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক।
  • পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময় আপনি যদি ৪৪৫৫৬৬ এই লেভেলের পাসওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • সেজন্য,  এমন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যে পাসওয়ার্ডটি সম্পর্কে ধারণা করা অনেকেরই পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যেমনঃ 178259.
  • এছাড়াও যে কেউ যদি আপনাকে কল করার মাধ্যমে বলে যে আপনার নাম্বারে কোড এসেছে, সেই রিলেটেড কোন একটি ইনফরমেশন জেনে নিতে চায়, তাহলে কলটি কেটে নিন।
  • মনে রাখবেন, বিকাশ কখনোই আপনার কাছে কোন কোড জানতে চাইবে না।

কেউ যদি আপনাকে কল দিয়ে বলে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, আপনার বিকাশ একাউন্টে কাজ চলছে, তাহলে এ সমস্ত অবাঞ্ছিত কথা গুলো এড়িয়ে চলুন।

প্রয়োজন মনে করলে সাথে সাথে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে তাদেরকে এই সম্পর্কে অবগত করুন। তাহলেই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

মোট কথা হল, প্রতারক চক্রের কাছ থেকে আপনি যত বেশি দূরে থাকতে পারবেন, আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া তত বেশি অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এছাড়াও যে কেউ যখন আপনার কাছ থেকে ভেরিফিকেশন কোড নিতে চাইবে, তখন আপনি যদি ভেরিফিকেশন করতে তাদেরকে না দেন তাহলে তারা একাউন্টে করতে অক্ষম হয়ে পড়বে।

সেজন্য, যে কারো কথায় ভেরিফিকেশন কোড কখনোই দিতে যাবেন না।

অন্যথায়, আপনি ঝামেলার মধ্যে পড়তে পারেন এবং আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা হারাতে পারেন।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় কিংবা বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পূর্বে করণীয় সম্পর্কে উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

Scroll to Top