বিকাশ ব্যবসা কি হালাল? নাকি হারাম?

আপনি যদি বিকাশ ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করতে চান, তাহলে আপনাকে নিশ্চয় বিকাশ ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম হবে সে সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিতে হয়।

এছাড়াও ইসলামিক ধর্মকোন থেকে আপনি যদি সার্বক্ষণিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করে থাকেন, তাহলে যে কোন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনি হালাল-হারাম এর বিষয়টি চিন্তা করতে পারেন।

কোন ব্যবসা কখন হালাল কিংবা হারাম হয়?

যে কোন ব্যবসা তখনই হারাম কিংবা অবৈধ হয় যখন এই ব্যবসার মধ্যে অসৎ কোন বিষয় প্রবেশ করে। অর্থাৎ যে বিষয়ের দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন।
(সুরা বাকারা : ২৭৫)

অর্থাৎ অবৈধ কোন বিষয়ে যদি আপনার ব্যবসার মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে যায় কিংবা আপনি অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করলে সেই ব্যবসাকে হারাম ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সেজন্য, আপনার বিকাশ ব্যবসা হালাল হবে নাকি হারাম হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দ্বারা ঘটিত কার্যক্রমের উপর। অর্থাৎ আপনি কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, সেটির উপর নির্ভর করবে এই ব্যবসাটি হালাল হবে নাকি হারাম হবে।

বিকাশ ব্যবসা কি হালাল?

বিকাশ ব্যবসা তখনই হালাল হবে যখন আপনি বিকাশের মাধ্যমে সঠিকভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। অর্থাৎ যেকোন রকমের সুদভিত্তিক বিষয়াদির দিকে না জড়িয়ে পুরোপুরি সৎভাবে ব্যবসা করলে আশা করা যায় ব্যবসা হালাল হবে।

বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা গ্রহণ করা কিংবা টাকা লেনদেন করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এটা যেহেতু একটি সুদ বিত্তিক প্রতিষ্ঠান, সেজন্য আপনাকে সুদের বিষয়ে নজরদারি রাখতে হবে।

যদিও আপনি নিজে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে সেরকম কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আর আপনি যেহেতু এজেন্ট ব্যবসার মাধ্যমে পরিশ্রম করছেন কিংবা আপনি নির্দিষ্ট কিছু টাকা ইনভেস্ট করছেন সেজন্য সেখান থেকে কিছু লাভ পাওয়া দোষের কিছু নয়।

অর্থাৎ, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে লাভ সংগ্রহ করতে পারেন সেটাই ব্যবসার মুলমন্ত্র।

একজন বিকাশ একাউন্টধারী তার হিসাব থেকে অন্য একাউন্টধারীর হিসাবে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পাঠাতে পারে। এটিকে মোবাইল ব্যাংকিং এর ভাষায় বলা হচ্ছে সেন্ড মানি।  নির্ধারিত ফ্ল্যাট রেটে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এতেও শরয়ী সমস্যা নেই।

এছাড়াও একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করার ক্ষেত্রে আপনি একই রকমের ফ্লাট রেট পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও শরিয়া কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

সুতরাং এটা বলা যায় আপনি যদি এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করে পারিশ্রমিক কিছু টাকা নেন, তাহলে সেটি হারাম হবে না। সেটি হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

Scroll to Top