বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় এবং একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ

আপনার বিকাশ একাউন্ট যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিলে একাউন্ট আবার আনলক করতে পারেন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।

যার মধ্যে থেকে অন্যতম একটি হলো, আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে এরকম কিছু একটিভিটি লক্ষণীয় যেগুলো একাউন্ট হ্যাকিং এর সংকেত দেয়।

এছাড়াও আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট পরিপূর্ণ নিয়ম-নীতি মেনে চালু করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়া রিলেটেড জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি?

কোন ইলিগয়াল এ্যাকটিভিটির কারণে যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকাশ একাউন্ট আবার আনব্লক করার প্রয়োজন রয়েছে।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে যে সমস্ত করণীয় মেনে চলতে পারেন, সে গুলোর একটি লিস্ট নিচে তুলে ধরা হলো।

  • বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হলো আপনার অ্যাকাউন্ট রিলেটেড ইনফরমেশন গুলো সংগ্রহ করা।
  • আপনার অ্যাকাউন্টের ইনফরমেশন বলতে, আপনি যখন অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন, সেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় যে আইডি কার্ড দিয়ে তৈরি করেছিলেন সেই আইডি কার্ড সংগ্রহে রাখুন।
  • এছাড়াও অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার জন্য আপনার একাউন্টে সর্বশেষ লেনদেনের সংখ্যাটি মনে রাখুন। যার মানে হলো, একাউন্ট থেকে করা সর্বশেষ ট্রানজেকশন ডিটেইল সম্পর্কে অবগত হয়ে যান।

এই দুইটি ইনফরমেশন সম্পর্কে যখন আপনি নিজেই অবগত থাকবেন বা এই দুইটি ইনফরমেশন যখন আপনার হাতে থাকবে, তখন আপনি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্য তৈরি।

  • অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্য আপনাকে প্রথমত বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল দিতে হবে। বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার হলো ❝১৬২৪৭
  • যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত নাম্বারে কল করে দিবেন, এবং কল করার পরে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এই রিলেটেড ইনফরমেশন গুলো যখন তাদের কাছে বলবেন, তখন তারা আপনাকে উপরে উল্লেখিত প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করবে।

অর্থাৎ তারা আপনাকে এটা বলবে যে আপনার বিকাশ একাউন্টের যে আইডি কার্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, সেই আইডি কার্ডের নাম্বার এবং সর্বশেষ ট্রানজেকশন ডিটেইলস।

এছাড়াও সবচেয়ে কার্যকরী ভাবে অ্যাকাউন্ট আনলক করার জন্য যেই নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা হয়েছে, সেই নাম্বার দিয়ে কল দিবেন।

অন্যথায়, বিকাশ একাউন্ট আনব্লক করতে পারবেন না।

যখন তারা আপনাকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করবে এবং আপনি যখন এই প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দিয়ে দিতে পারবেন, তখন কিছু সময়ের মধ্যে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট আনলক হয়ে যাবে।

উপরে উল্লেখিত উপায়ে আপনার অ্যাকাউন্ট যদি কোনো কারণে ব্লক হয়ে যায়, তাহলে আনব্লক করতে পারবেন।

অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে গেলে উপরে উল্লেখিত উপায় পুনরায় আবার একাউন্ট চালু করতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ

কোন কোন কারণে আপনার বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ হতে পারে? সেই রিলেটেড একটি আলোচনা নিচে করা হলো।

এই তথ্যটি জানানো একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, আপনি যদি পূর্বে থেকে এই রিলেটেড কাজগুলো বিকাশ একাউন্টের সাথে না করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার কোন চান্স নেই।

সে জন্য নিম্নলিখিত ইনফরমেশন গুলো মাথায় রাখুন এবং আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সময় এই সমস্ত ইনফরমেশন গুলো সর্বদা মনে রাখুন।

  • বারবার ভুল পিন দিয়ে ট্রাই করবেন না। কোন কারনে যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার ভুল দেখায়, তাহলে সেখানেই রেখে দিন। প্রয়োজনে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে পিন রিসেট করে নিন।
  • এছাড়াও আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্টে লগইন করার সময় বারবার ভুল পিন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট লগইন করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য লক হয়ে যেতে পারে।

এবং এর ধারাবাহিকতা যখন আপনি বেশ কিছু সময় ভুল পিন নাম্বার দেয়ার মাধ্যমে একাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করবেন, তখন আপনার একাউন্ট পার্মনেন্টলি ব্লক হয়ে যেতে পারে।

সেজন্য, কোন কারনে যদি আপনার পিন নাম্বার ভুল দেখায়, তাহলে এই পিন নাম্বার রিসেট করে নিন। রিসেট করার জন্য বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করুন।তাহলে তারা আপনাকে সাহায্য করবে।

উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে এটা নিশ্চিত হওয়া গেল যে, আপনার অ্যাকাউন্ট যদি বন্ধ হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হলো, ভুল পিন নাম্বার দিয়ে বার বার ট্রাই করা।

আপনি যদি ভুল পিন নাম্বার দিয়ে বার বার ট্রাই করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট লক হওয়া থেকে শুরু করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Scroll to Top