নগদ একাউন্টের মুনাফা ২০২৩ | Nagad Account Profit

আমাদের মধ্যে যে বা যারা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমাতে চান তারা নগদ একাউন্টের মুনাফা সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমানোর পরে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। যা মাসিক ভিত্তিতে আপনাকে প্রদান করা হবে।

আর নগদ একাউন্টের মুনাফার হার সম্পর্কে বিস্তারিত যে তথ্য রয়েছে, সেই বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথেষ্ট।

নগদ একাউন্টের মুনাফা কখন প্রযোজ্য হবে

আপনি যদি নগদ একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখেন, এবং এটি যদি মাসব্যাপী আপনার অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে আপনি নগদ একাউন্টে মুনাফা সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

অর্থাৎ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আপনার নগদ একাউন্টে যদি এক মাসের ঊর্ধ্বে বা এক মাস অব্দি থাকে, তাহলে এই টাকার উপর কিছু মুনাফা দেয়া হবে।

আর টাকার অংকের উপর নির্ভর করে কত টাকা মুনাফা ধার্য করা হবে, সেটি নির্ধারণ করা হবে।

নগদ একাউন্টের মুনাফার হার কত?

আপনি যদি নগদ একাউন্টের মুনাফার হার সম্পর্কে জেনে নেন, তাহলে সম্পর্কে বুঝতে পারবেন যে কত টাকা একাউন্টে জমা রাখলে মাসে কত টাকা মুনাফা পেতে পারেন।

  • একেবারে সহজ হিসাব মতে, আপনি যদি আপনার নগদ একাউন্ট ০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা জমা রাখেন, তাহলে বার্ষিক মুনাফার হার হবে ০.০%
  • এছাড়াও আপনি যদি আপনার নগদ একাউন্টে ১০০১ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা অবধি জমা রাখেন তাহলে বার্ষিক মুনাফার হার হবে ৪.০%
  • এবং ৫০০১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ যত টাকা অবধি রাখা সম্ভব তত টাকা অব্দি আপনি যদি রাখেন, তাহলে বার্ষিক মুনাফার হার সর্বোচ্চ পরিমাণে আপনি পাবেন৷ আর তার পরিমাণ হল ৬.০%.

এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার আর সেটা হলো, নগদ একাউন্টে যে সর্বোচ্চ মুনাফা হারের পরিমাণ রয়েছে, সেই মুনাফার পরিমাণ হল ৬%।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার নগদ একাউন্টে ১০০০ টাকার কম কিংবা ১০০০ টাকা রাখেন, তাহলে বার্ষিক মুনাফার হার হিসেবে আপনি কোন টাকা পাবেন না।

নগদ একাউন্ট এর মুনাফা পাওয়ার শর্ত

এছাড়াও নগদ একাউন্টের যে লাভ সেবা রয়েছে, সেই লাভ সেবা উপভোগ করতে চান, তাহলে তাদের যে নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনার নেয়া প্রয়োজন রয়েছে।

  • এই মুনাফা মূলত মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
  • প্রতিদিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট মুনাফার হার হিসাব করে, মাস শেষে মুনাফা প্রদান করা হবে।
  • এছাড়াও আপনার একাউন্টে মুনাফা জমা হবে সেই মুনাফা জমা হওয়ার পূর্বে সরকারের ট্যাক্স কিংবা ভ্যাট কর্তন করা হবে। সমস্ত কিছু রেখে দেয়ার পরে হিসাব করে আপনার একাউন্টে মুনাফা যুক্ত করে দেয়া হবে।
  • মুনাফা পাবার জন্য অবশ্যই নগদ অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে হবে।
  • এছাড়াও একাউন্ট স্ট্যাটাস জনিত কোন সমস্যার কারণে যদি মুনাফা বিতরণ করা না হয়, তাহলে গ্রাহক উক্ত মাসে কোন রকমের মুনাফা পাবেন না।
  • এছাড়াও নগদ একাউন্টে যে প্রাইভেসি পলিসি রয়েছে সেই সম্পর্কে আপনি যদি দ্বিমত পোষণ করেন, তাহলে নগদ কর্তৃপক্ষ আপনার মুনাফা কেটে দিতে পারবে।

মুনাফা সেবা বাতিলের উপায়

আমরা যারা ধর্ম পরায়ন রয়েছি, তারা নিশ্চয়ই এই মুনাফা নামক সুদের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাইবোনা।

আর আপনি যদি নগদ একাউন্টের এই মুনাফা সেবা না নিতে চান, তাহলে নগদ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল করার মাধ্যমে আপনি এটি বন্ধ করে দিতে পারেন।

মুনাফা সেবা বন্ধ করে দেয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে নগদ কল সেন্টার নাম্বারে কল করতে হবে এবং তারপরে সার্ভিস রিকোয়েস্ট এর মাধ্যমে, গ্রাহক তার মুনাফা সেবা গ্রহণ কিংবা বাতিল করতে পারবেন।

নগদ একাউন্ট এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
16167

উপরে উল্লেখিত নাম্বারে কল করার পরে আপনি একজন কাস্টোমার প্রতিনিধিকে এই সম্পর্কে অবগত করতে পারেন, আপনি নগদ একাউন্টে মুনাফা উপভোগ করতে চান কিনা।

আপনি যদি অ্যাকাউন্ট চালু করে রাখতে চান তাহলে তাদেরকে সম্পর্কে অবগত করেন এবং আপনি যদি এই একাউন্টে মুনাফা উপভোগ করতে না চান, তাহলে তাদেরকে এই সম্পর্কে অবগত করুন।

বলা বাহুল্য, নগদ এপ এর মাধ্যমে আপনি একটি ইসলামিক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top