যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গরা গেইম প্রেমে তারা নিশ্চয়ই গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে কিভাবে সম্ভব, সেই সম্পর্কে জেনে নিতে ইচ্ছুক।
আপনিও যদি একজন প্রেম প্রেমিক হয়ে থাকেন এবং গেম খেলার মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান, টাকা আয় করার পরে সেই টাকা বিকাশে নিতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।
এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে, গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে কিভাবে নিয়ে নিবেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
Contents
গেম খেলে বিকাশে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব?
আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে গেম খেলার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন কিংবা গেইমিং এক্সপেরিয়েন্স কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে, গেম খেলে টাকা আয় করার যে সমস্ত পন্থা রয়েছে, সে সমস্ত পন্থা রয়েছে, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়।
- একজন গেইমিং ইউটিউবার।
- একটি গেইমিং ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করা।
- গেইমিং কোম্পানির হয়ে কাজ করা।
- টুইচ গেইমার হিসেবে টাকা করা।
উপরে যে চারটি উপায়ের কথা মেনশন করা হয়েছে, সেই চারটি উপায় ছাড়া আরো বিভিন্ন উপায়ে আপনি চাইলে গেইমিং করে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে এই সমস্ত উপায়গুলো সবচেয়ে কার্যকরী এবং এগুলোর মাধ্যমে আপনি ভাল ফলাফল উপভোগ করতে পারবেন।
একজন গেইমিং ইউটিউবার
আপনি যদি একজন গেইমার হয়ে থাকেন এবং এক্সপার্ট লেভেলের একজন গেইমার হয়ে থাকেন, তাহলে এখান থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার প্রধান হাতিয়ার হতে পারে ইউটিউব।
ইউটিউব একটি চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে আপনি যখন গেমিং ভিডিও পাবলিশ করবেন, তখন সেখান থেকে আপনি বেনিফিট লাভ করবেন।
এছাড়াও, যখন আপনার ফ্যান/ফলোয়ার্স প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার একটি ফ্রেন্ড সিগনাল তৈরি হবে সেই ব্র্যান্ড সিগন্যালকে কাজে লাগিয়েও আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এখানে আপনি চাইলে মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন, কিংবা স্পনসর্শিপ কনটেন্ট এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
মোট কথা হল, আপনি যদি একজন এক্সপার্ট লেভেলের গেইমার হয়ে থাকেন, তাহলে ইউটিউব আপনার জন্য এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম।
যেখান থেকে আপনি এই স্কিল কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও, গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আপনার প্রধান এবং প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ইউটিউব।
সেজন্য, আপনার যদি গেইমিং সম্পর্কে অ্যাডভান্স লেভেলের একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আজই ইউটিউবে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বেনিফিট উপভোগ করুন।
একটি গেমিং ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট
এছাড়াও গেইমিং করে টাকা আয় করার জন্য আরেকটি অসাধারণ উপায় হল ব্লগিং ওয়েবসাইট। আপনি চাইলে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে ডোমেইন-হোষ্টিং করার করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
মোট কথা হল, আপনি যে এরকমই ওয়েবসাইট তৈরি করেন না কেন, সেখানে আপনি গেমিং রিভিউ করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও ভিজিটরদের গেইমিং সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের স্কিল শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
যখন আপনার ফ্যান ফলোয়ার্স কিংবা ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনি এই ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন নেয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি যদি খুব বেশি পরিমাণে ভালো হয়ে থাকে, তাহলে এখান থেকে আপনি বিভিন্ন রকমের বেনিফিট উপভোগ করতে পারবেন।
অর্থাৎ এর রিভিনিউ ছাড়াও আপনি চাইলে এখানে স্পনসর্শিপ কনটেন্ট নেয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি, গেইমিং এর মাধ্যমে কন্টিনিউয়াসলি টাকা আয় করতে চান , তাহলে আপনার জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হল ব্লগিং ওয়েবসাইট।
এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সেরকম কোনো অভিজ্ঞতা এবং কোডিং রিলেটেড ধারনা না থাকলেও চলবে। ওয়ার্ডপ্রেসে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।
টুইচ গেইমার হিসেবে কাজ করে
টুইচ (Twitch) হলো একটি মার্কিন ভিডিও গেম লাইভ ষ্ট্রিম চ্যানেল যা মূলত ই-স্পোর্টস সম্প্রচারের কাজে ব্যবহৃত হয়। ইউটিউবের মতো এখানেও আপনি ভিডিও গেমের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
ইউটিউবে মনিটাইজেশন নেয়ার জন্য যে সমস্ত ঝামেলা পোহাতে হয়, সেখান থেকে মনিটাইজেশন নেয়ার জন্য সেরকম কোনো ঝামেলা প্রয়োজন হয় না।
অর্থাৎ তাদের নির্দিষ্ট শর্ত মেনে চললেই আপনি এখান থেকে মনিটাইজেশন নিতে পারবেন এবং টাকা আয় করতে পারবেন।
গেমিং কোম্পানির হয়ে কাজ করে
এছাড়াও পৃথিবীতে এরকম কয়েক লক্ষ গেমিং কোম্পানি রয়েছে, সে সমস্ত গেমিং কোম্পানিতে আপনি কাজ করতে পারেন।
তবে আপনি যদি গেইমিং কোম্পানিতে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতে পারে। এবং মাস্টার লেভেলে জ্ঞানের প্রয়োজন হতে পারে।
সেজন্য, এই অপশনটি সবার জন্য না। তবে আপনি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে- রিকোয়ারমেন্ট কি?
প্রথম এবং সর্বশেষ কথা একটি আরো সেটি হল, আপনি যদি যেকোনো একটি জায়গা থেকে টাকা আয় করতে চান এবং কাউকে সেই সম্পর্কে জ্ঞান দিতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমত সেই সম্পর্কে এক্সপার্ট লেভেলের জ্ঞানী হতে হবে।
এছাড়াও আপনার গেইমিং স্কিল যদি খুব বেশি পরিমাণে স্মুথ থাকে, তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি উপায় চেষ্টা করতে পারেন।
এবং আপনার মনের ভিতরে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে থাকে যে আপনি চাইলেই গেমিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন, তাহলে উপরে উল্লেখিত বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখতে পারেন।
গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে – শেষ কিছু কথা
আপনি হয়তো এই আর্টিকেলের প্রবেশ করেছেন, সেরকম কোন সোর্সের আশায়, যে সমস্ত সোর্স থেকে আপনি সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি মনে করেছেন হয়তো এই আর্টিকেলের কোন একটি সফটওয়্যার কিংবা ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। যেখান থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো আর সেটি হল, আপনি চাইলে সফটওয়্যার কিংবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে যে সমস্ত ওয়েবসাইট রয়েছে, সে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে থেকে প্রায় অনেক ওয়েবসাইট ভীতিকর এবং আপনাকে কাজ করিয়ে পেমেন্ট দিবেনা।
তবে সব ওয়েবসাইট যে আপনাকে পেমেন্ট দেবে না সেরকম কিন্তু নয়। ইন্টারনেটে এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে সমস্ত ওয়েবসাইট কাজ করিয়ে আপনাকে টাকা দিবে।
তবে, আপনি যদি সেই টাকার পরিমাণ এবং আপনার পরিশ্রম এর পরিমাণ দুইটার দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখতে পারবেন সেটি নিতান্তই স্বল্প।
দেখা যাবে আপনি সারাদিন কাজ করেছেন কিন্তু দিনশেষে আপনি মাত্র ১০ টাকা আয় করতে পেরেছেন কিংবা কোনদিন আপনি এক টাকাও আয় করতে পারেননি।
এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোর বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট থেকে গায়েব হয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও আপনি নানা রকমের খাটুনি খাটার পড়ে হতাশ হতে পারেন।
তাই প্রফেশনালি টাকা আয় করার জন্য এবং লাইফটাইম টাকা করার জন্য আপনি চাইলে উপরে উল্লেখিত উপায়গুলোর দিকে নজর আরুপ করতে পারেন।
এসমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি যদি টাকায় করেন, তাহলে সেটি আপনার কোন না কোন কাজে ব্যয় হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার স্কিল আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে।
সেজন্য শেষ কথা একটাই, এসমস্ত ভুয়া অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইটের পিছনে না দৌড়িয়ে, আপনার স্কিল কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকমের প্লাটফর্মের সহায়তায় টাকা আয় করুন।
এক্ষেত্রে আপনার স্কিল সমৃদ্ধ হবে এবং খুব বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।