বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং সুবিধা

আমাদের মধ্যে যে বা যারা ইতিমধ্যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে নাম শুনে ফেলেছেন,, তারা নিশ্চয়ই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিতে চান।

আর আপনিও যদি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সমস্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিতে চান এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখিনিন।

এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সে সমস্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে প্রথমত আপনাকে বিকাশের যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে, সেই অফিসের ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট তৈরি করার লিংক কালেক্ট করতে হবে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমত নিম্নলিখিত লিংক এ ক্লিক করুন এবং তারপর এখানে দেয়া যে সমস্ত ইনফরমেশন রয়েছে, সে সমস্ত ইনফরমেশন ফিলাপ করে নিন।

Marcent Account

 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক রিলেটেড এর সমস্ত তথ্য দেয়ার পরে এটি বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করে দিতে হবে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং সুবিধা
এবার আপনার অ্যাকাউন্ট এর যে সমস্ত তথ্য আপনি তাদের কাছে প্রেরণ করবেন, সেই সমস্ত তথ্য যদি তাদের রিকোয়ারমেন্ট সাথে মিলে যায় তাহলে আপনাকে মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে দেয়া হবে।

যখনই আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলে নিবেন, তখন আপনাকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়ার প্রয়োজন হবে।

অর্থাৎ এই একাউন্টে মাধ্যমে আপনি কি রকমের লাভ কিংবা অন্যান্য বিষয়াদি উপভোগ করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া আবশ্যক।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা

আমি প্রথমেই বলেছি যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে নানামুখী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে যেকোনো ব্যবহারকারীর জেনে নেয়া প্রয়োজন।

  • আপনি যদি সাধারন বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন করেন তাহলে লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া ১.৮৫%। এবং আপনি যদি মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেন করেন তাহলে চার্জ প্রযোজ্য হবে ১.৭%।
  • তবে এই টাকার পরিমাণ কমবেশি হতে পারে আপনার প্রতি মাসের লেনদেনের উপরে।
  • আপনি যদি মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে বেশিরভাগ লেনদেন করতে পারেন, তাহলে এই চার্জের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হবে।
  • এছাড়াও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু লিমিট থাকলেও আপনি যদি মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করেন, তাহলে এর বিশেষ কোন লিমিট নেই। আপনি আনলিমিটেড একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
  • কারন, ব্যবসায়িক কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো বিকাশ একাউন্ট থেকে বিভিন্ন রকমের লেনদেন করতে হয় কিংবা বিভিন্ন পরিমাণে লেনদেন করতে হয়, যা আপনি পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে করলে কিছু লিমিটেশন পাবেন।
  • তবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আনলিমিটেড লেনদেন করতে পারবেন, কোনো রকমের লিমিটেশন ছাড়া।
  • এছাড়াও যারা বিকাশের মার্চেন্ট, তারা কিন্তু চাইলেই বিকাশের বিভিন্ন রকমের অফার তৈরী করতে পারে। যার কারণে আপনি চাইলে আপনার যেকোন পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে এই পণ্য কিনার ক্ষেত্রে অফার দেয়ার মাধ্যমে, অন্যের সেল বাড়াতে পারবেন।

আর এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা ছাড়াও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে আরো বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।

আশাকরি, বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে যে সুবিধা রয়েছে, তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

Also Read: Bkash Interest rate 2021 | বিকাশ ইন্টারেস্ট খোলা এবং বন্ধ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top